কথিত বন্ধুর পাতানো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন মামলা হলে এর ১০ দিনের মাথায় শুক্রবার রাতে চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইমরান হাসান (১৯), কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার শরীফ হোসেন (১৮) এবং ময়মনসিংহের ত্রিশালের ১৬ বছরের কিশোর।
র্যাব-১-এর গাজীপুর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৫ জানুয়ারি জন্মদিনের কথা বলে পার্শ্ববর্তী শরীফদের ভাড়া বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই কিশোরীকে। সবাই মিলে হৈ-হুল্লোড়ের একপর্যায়ে পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানো হয় ওই কিশোরীকে। মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে চারজনে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। মধ্যরাতের পর মেয়েটিকে বাড়ির উঠানে আবর্জনার স্তূপে ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবার দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে। ইমরান হাসান নামে এক ধর্ষক পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করে পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভিডিওতে হাস্যোজ্জ্বল এক যুবককে বলতে দেখা যায়, ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস, শুক্রবার হয়তো জেলে থাকব, কারও সঙ্গে আর দেখা হবে না। গ্রেপ্তার না হলেও বাড়ির আশপাশে থাকতে পারব না।’ সেদিনই শ্রীপুর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবারটি র্যাব-১-এর সহায়তা চায়। এরই মধ্যে ওই মেয়েটির কথিত ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে র্যাব চার ধর্ষককে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। অবশেষে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকা থেকে চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১-এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তারের পরও তারা উল্লাস প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা অপরাধবোধ নেই। তিনি জানান, চার ধর্ষককে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে রোববার আদালতে পাঠানো হবে।