প্রথমে মা। মায়ের পরে মেয়ে। এভাবেই বংশানুক্রমে ওরা পতিতা হয়ে ওঠে। নিজেদের ছোট্ট মেয়েটিকেও ঠেলে দেয় ওই অন্ধকার জীবনে। শুধু দুমুঠো খাবারের জন্য। জীবনের বাকি চাওয়া যেন তাদের জন্য অর্ধসত্য। ওরা যেন রাজপথ থেকে আয় করে আসার জীবন্ত বস্তু। হ্যা এমন জীবন নিয়েই ওরা বাঁচে। নীচ থেকে যেন ওরা আরও নীচ। ভারতীয় বর্ণবাদের সবচেয়ে নীচে থাকা বাচাডাস গোষ্ঠী যাদের নিয়ে কেউ ভাবেনি কোনদিন। ওদের বাস ভারতের মধ্যপ্রদেশে। করোনা মহামারি নিচুস্তরে থাকা বাচাডাস সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোকে আরও নিচে নামিয়ে নিয়ে গেছে। দলিত এই সম্প্রদায়ের পরিবারগুলো উপার্জনের জন্য তাদের কিশোরী নয় শিশু কন্যাকেও ঠেলে দেয় পতিতাবৃত্তিতে।
সেখানে পতিতাবৃত্তি মানেই হল কিছু টাকা ঘরে আনা। এটা দুঃখজনক, তবে এ যেন এক কালো সত্য। করোনার এমন পরিস্থিতিতেও সুরক্ষার চিন্তার বদলে তাদের মরিয়া করেছে দুমুঠো অন্নের চিন্তা।
স্মৃতি তখন ১৪ বছর বয়সের তখন থেকেই সে প্রথম পতিতাবৃত্তি শুরু করে। তার খদ্দের বা ক্রেতা বেশীরভাগই ট্রাকচালক। সে ভারতের মধ্যপ্রদেশের তিনটি বড় শহরের নিমচ, রাটলাম, মশুরের মধ্যে সংযোগ আছে এমন মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকত মাসীর নির্দেশমত। বিশেষ পতাকা দেখিয়ে ট্রাকচালকদের বুঝিয়ে দেয় ‘টাকা দিলে সঙ্গমে রাজি আছে সে’।
‘আমার প্রথমবার খুব খারাপ লেগেছে। লোকটা ভাল ছিলনা’—স্মৃতি জানাল। স্মৃতি এখন ষোড়শী।
স্মৃতির কথায়, ‘প্রথমবারের পর সুস্থ হয়ে আবার পেশায় ফিরে আসতে দুইমাস লেগেছিল। আমি খুব আঘাত পেয়েছিলাম, ফিরে যাবার মত আর কোন জায়গা নেই তাই আবার ফিরে আসতে হয় এই পতিতাবৃত্তিতে। আমার মত অনেক ছোট মেয়ে আছে বাচাডাস সম্প্রদায়ে যারা পরিবারের বাধ্য হয়ে খুব কম বয়সেই টাকার অভাবে পতিতাবৃত্তি করছে। বাচ্চা মেয়েরাই ট্রাক চালক ও কার্গো গাড়ির চালকদের প্রধান চাহিদা। এসব চালকেরা সপ্তাহ অবধি রাস্তায় থাকে।’
স্মৃতি এখন ১৬ বছর বয়সের, সেই তিন সদস্যের পরিবারে একমা্ত্র উপার্জক। এ পেশায় সে পরিশ্রমী ও স্বতন্ত্র বক্তা ও ছাত্রী।
নিমচ জেলায় তার গ্রামের বাড়ি। সে মুঠোফোনে জানায়, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো কঠিন হয়েছে। করোনায় সারাদেশে লকডাউনের কারণে কোন উপার্জন নেই। আমি খদ্দেরকে কল দিলেও করোনার ভয়ে কেউ আসতে চায় না। বাড়িতে মধ্যবয়স্ক মা , ১০ বছরের ছোট ভাই, (যারা আছে আমার) সংসারের অভাবের দিকে অসহায় তাকিয়ে থাকি। কখনও যদি কলেজে পড়ার টাকা যোগাড় করতে পারি তবে পড়ব ।’ পড়ার প্রতি ভালবাসা আছে স্মৃতির।
স্মৃতি জানায়, জুলাইয়ের শেষের দিকে স্মৃতি কিছু খদ্দের পায়। তিন চারদিনের ট্রিপ শেষে ফিরে এসেছি চিত্তর (রাজস্থান ) থেকে গত সপ্তাহে। মহাসড়ক থেকে এক বয়ষ্ক খদ্দের আমাকে তার কারে (গাড়ি) তুলে নেয়। ৩-৪ দিনের ট্রিপে আমাকে সে খদ্দের ২০০০ টাকা দিয়েছে শুধু। করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে স্মৃতি এক রাতেই এরচে বেশী উপার্জন হত। তবু খুশি ভাইয়ের হাসপাতালের খরচ দিতে পারায়। ভাই পা ভাঙা নিয়ে হাসপাতালে ছিল।
খদ্দের কি সতর্কতা অবলম্বন করেছিল? জবাবে স্মৃতি বলে, ‘লোকটি কনডম ও মাস্ক পরেছিল। আমি জানি করোনার ঝুঁকি আছে। আমি পেশায় না গেলে যে ভাই না খেতে পেয়ে মরে যাবে। ‘
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে স্মৃতিকে সরকারি হাসপাতালে যেতে হয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে। আমার পিরিয়ড চলছিল গত তিন সপ্তাহ ধরে। শুরু থেকেই পেটে ব্যাথা ছিল প্রচণ্ড। চিকিৎসক আমাকে ওষুধ দেন এবং বিশ্রাম করতে বলেন। কিন্তু আমি পারছি না তবুও আমাকে পেশা করতেই হচ্ছে।
শীতল নামের আরেকটি মেয়ে তার বয়সও ১৬ বছর। তবে সে স্মৃতির মত না। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর স্কুল ছেড়েছে সে।
শীতল বলে, ‘আমার কোন বাবা নেই, আমি আমার অন্য তিন ভাইবোন ও মায়ের সাথে থাকি। আমি বাড়ির বড় তাই পেশায় আগে আসতে হয়েছে। মার্চ মাস থেকে যখন করোনা এখানেও চলে আসে তখন ১৫০ বা ২০০ টাকা করে পেতাম খদ্দের প্রতি। প্রায়দিনই একবেলা খেতে পারতাম। সাধারণত সেটা রাতে হত। রাতের বেঁচে যাওয়া খাবারটুকু আমি সকালে খেয়ে নিতাম।’
শীতল বলে, ‘এ পেশার কাজ শিখেছি এক বয়স্ক চাচাতো বোনের কাছে। এখন প্রায় চার বছর হয়ে গেল পতিতা পেশায় আছি।’
‘এখানে কিছুই আমার কাছে অস্বাভাবিক নয়। জন্মের পর থেকে আমি আমার মা ও অন্য সব মেয়েদের পেশার কাজ করতে দেখেছি। আমি পেশায় আসার আগেই জানতাম আমাকে কি করতে হবে। পেশায় আসা শুধু সময়েরে ব্যাপার মাত্র।’ ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে শীতল আবার বলে, সব বুঝে এসেছি। তবুও অচেনা স্পর্শ আমার এতটা খারাপ লাগত যে নিজের অনুভূতির বিরুদ্ধে নিজের যুদ্ধ করতে হত। আমি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তাম।’
‘আমার মত মেয়ের এখানে কোন দাম নেই, কেউ জিজ্ঞেসও করেনা।’— ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলা বললেন। তিনি বললেন, ‘বেশীরভাগ খদ্দের এখানে বাচ্চা মেয়ে খোঁজে। প্রতিবছর তারা আগের থেকেও ছোট মেয়ে চায়। ছোট থেকে ছোট মেয়েরই চাহিদা এখানে।’
‘কোন খদ্দেরই ভাল হয়না।’—১৫ বছর বয়সী কৃতি নামের মেয়েটি বলে।
‘খদ্দেরের সাথে ফোনে কথা বলে রাজি হওয়ার আগে খদ্দের বলে যৌনতার সময় সে একাই থাকবে কিন্তু গিয়ে দেখতে পাই তারা অনেকজন একসাথে। অবশ্যই আরও অন্যান্য ঝুঁকিও থাকে তখন। তবু কিছু করার থাকে না আমার। বেশীরভাগ খদ্দের খারাপভাবে ব্যাবহার করে আমাদের। কনডমও ব্যাবহার করতে চায় না খদ্দেররা। আমি জানি ঝুঁকিটা আমারই। তবুও কিছু করার থাকে না।’
ছয় সদস্যের বড় পরিবারের জন্য টাকা উপার্জনের জন্য কাজ করে কৃতি। ’আমি কখনও স্কুলে যাইনি। আমি চেয়েছিলাম যেতে স্কুলে, কিন্তু আমার যখন ১৩ বছর বয়স তখন থেকে পেশায় ঢুকে যেতে হয়েছে। আমার বড় বোনই আমাকে প্রথম পেশায় আসার কথা বলেছিল’— আক্ষেপ নিয়ে বলছিল কৃতি।
আমার মত আরও যেসব মেয়েরা আছে দলিত সম্প্রদায়ে তাদেরও মরিয়া হয়ে টাকা উপার্জন করতে যায় জানিয়ে কৃতি বলে, ‘আমার আসল বাবা তার মায়ের খদ্দের ছিল যে কখনও ফিরে আসেনি। আমরা ছাদভাঙা একটি বাড়িতে থাকি। বাড়ির রুমগুলোর ছাদে বড় বড় ছিদ্র আছে এবং বৃষ্টি হলেই মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। ব্যাবহারের জিনিসপত্র রাখতে ও রান্না করতে ঘরের একটি ছোট কোণাকে ব্যবহার করি আমরা।’

দলিত সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মায়েদের কথা হল— তারা তাদের মেয়েদের কখনও পতিতাবৃত্তিতে পাঠাতেন না। তবে তারা বাধ্য হন পাঠাতে। কারণ কঠিন সময়ে যখন উপার্জনের কেউ থাকে না তখন তারাই আয়ের মাধ্যম। যখন নাবালিকারা নিজেরাই স্কুল ছেড়ে পতিতা পেশায় যায় না এটি নিশ্চিত হয়ে পড়ে তাদের ভাইকে কনের মূল্য দিতে হবে। অন্যদিকে হাইওয়েতে হল দ্রুত অর্থোপার্জনের মাধ্যম। পরিবারের পুরুষদের জন্য মদের অর্থ যোগাতে হবে। ভাইয়ের জন্য কনে কিনে আনতে হবে। সব দায়িত্ব পড়ে পরিবারের সবচেয়ে ছোট বয়সের মেয়েটির উপর।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে
একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে অনুমান করা হয় যেসব ট্রাক চালকরা পতিতার কাছে যায় তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ১০ ভাগ ট্রাক চালক কনডম ব্যবহার করে। বাকি ৯০ ভাগ ট্রাক চালক কনডম ব্যাবহার করেনা। ফলে চালকদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ উচ্চ হারে বাড়ে এবং এটি দ্রুত পতিতাদের ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ওদের বিকল্প জীবন না দিয়ে পুলিশ রেইড কখনও সমাধান হতে পারেনা’— বললেন মধ্য প্রদেশ ভিত্তিক এনজিও, নয়া জীবন জ্ঞান প্রচার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা শামিল চৌহান।
শামিল চৌহান বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ে থাকা বিভিন্ন অসাধু কর্মকর্তা ও দালালেরা মিলে কারাগারে পাঠানো মেয়েদের মুক্ত করে আনতে মরিয়া হয়ে যায়। তারাই মেয়েদের বাবামার সাথে বড় অঙ্কের লেনদেন করে। এইসব ঘটনাগুলো মেয়েদের দুইভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এক- ওই মেয়েরা, যারা কখনও যৌনকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেনি তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পতিতাবৃত্তিতে চলে যায়। দুই- যেসব মেয়েরা আগে থেকেই পতিতাবৃত্তির পেশায় ছিল তারা আবারও পেশা চালিয়ে যাবে যেন তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরিবারের নেওয়া ঋণ শোধ করতে পারে।
মি. চৌহানের মতে, মেয়েদের সাহায্য করতে মূল ভূমিকা রাখবে শিক্ষা। মেয়েদের জানা দরকার তারা নিজের জীবনে আরও অনেক কিছু করতে পারে। বিকল্প কর্মসংস্থানও তাদের জন্য সহজ করা দরকার। যতক্ষণ না বিকল্প কিছু হচ্ছে ততক্ষণ কৃতি, শীতল, স্মৃতিরা যৌবন বিক্রি করবে যতক্ষণ তার শরীরের দাম থাকবে।
পতিতাবৃত্তি বন্ধ করার আইনি আবেদন
তবে মেয়েরা যখন তাদের গল্পগুলো বলতে শুরু করে তখন অনিবার্যভাবে তাদের অর্থনৈতিক চাপ ও সামাজিক সমস্যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
২০১৭ সালে ভারতে পতিতাবৃত্তি বন্ধ করতে আবেদন করে একটি পিটিশনে উল্লেখ করা হয়— বাচচাদা সমম্প্রদায়ের ১৫০০ শিশু প্রতিবছর এই পেশায় ঢুকছে। দলিত সম্প্রদায়ের শিশু যৌনকর্মীদের সমস্যা সমাধান করার কাজটা সহজ নয়। অপ্রাপ্ত বয়স্কের সাথে যৌনতা ভারতীয় আইন অনুসারে অপরাধ। এ অপরাধে ভারতীয় পুলিশ কোন রকম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করার অধিকার রাখে। পাচার প্রতিরোধ আইন এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য যৌন অপরাধ আইন ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় পড়ে।
কিন্ত ভারতের মধ্যপ্রদেশে এই আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। স্থানীয় পুলিশ দলিত সম্প্রদায়ের গ্রামগুলোতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানোর অভিযোগে মেয়ে ও নারীদের চার্জ করা হয়। আদালত থেকে তারিখ বা জামিন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখা হয়। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয় যাতে তারা পরিবারে ফিরে যাওয়ার আগে পতিতাবৃত্তি পেশা ছেড়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়।
তবে মেয়েরা যখন তাদের গল্পগুলো বলতে শুরু করে তখন অনিবার্যভাবে তাদের অর্থনৈতিক চাপ ও সামাজিক সমস্যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কারা এই দলিত সম্প্রদায়?
বাচাডাস সম্প্রদায় মানে হল শেকড় ছাড়া মানুষ। এরা ভারতের মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানের তফশীলী জাতির শ্রেণিভুক্ত। তাদের আরও খারাপভাবে বলা হয় দলিত সম্প্রদায়। হিন্দু বর্ণবিভাগের চার শ্রেণির মধ্যে সবচেয়ে নীচু ওরা। দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন ছোট ডেরা বা গ্রামেই থাকে। তাদের গ্রামগুলোকে অন্য সাধারণ গ্রাম থেকে আলাদা করে বোঝা যায় না যতক্ষণ না তারা পতিতাবৃত্তির জন্য তাদের ঘরগুলোকে ব্যাবহার করছে।
দলিত পুরুষরা উপার্জনের জন্য কাজ পেতে চরম অবজ্ঞার সম্মুখীন হয়। সম্মানজনক কোন কাজ পায়না তারা। তারা শুধু মেথর বা পরিষ্কারকের কাজ পায়। তাই পরিবারের মেয়েদেরকেই কাজের জন্য বাধ্য করে তারা। ছেলের পরিবারকে ‘কনের অর্থ’ (মেয়ের মূল্য) বাবদ টাকা পরিশোধ করতে হয় মেয়ের পরিবারকে। এভাবে দলিত সম্প্রদায়ের মেয়েরা রাজপথের উপার্জনের বস্তু হয়ে উঠে। ফলস্বরুপ পতিতাবৃত্তি বংশানুক্রমে পেশা হয়ে উঠে নারীদের। যা মা থেকে মেয়ে পায়, মেয়ে থেকে তার মেয়ে। দলিত সম্প্রদায়ে এভাবেই পতিতাবৃত্তি নারীর জন্য একটি অনিবার্য প্রথা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এখানের প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য নিজের ইচ্ছায় এ কাজ করার কথা বললেও চরম সত্য হলো তাদের আর কোন উপায় থাকে না।
এখানের প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা পরিবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য নিজের ইচ্ছায় এ কাজ করার কথা বললেও চরম সত্য হলো তাদের আর কোন উপায় থাকে না। তারা বাধ্য পতিতা হতে। একবার পেশায় ঢুকে যাওয়ার পর প্রাপ্তবয়স্ক নারী দুইপেশে চাপে থাকেন। একদিকে দলিত সম্প্রদায়ে বিয়ের চাহিদা অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বিয়ের জন্য অযোগ্য ধরা হয়। তখন তারা শুধু খদ্দেরের আশায় বসে থাকেন। তাদের সন্তান হয়। সন্তানের বাবারা কখনও দিনের আলোয় আসে না। মেয়ে শিশুরা কিছু বুঝে উঠবে বা পালিয়ে যাবে তার আগেই এই সম্প্রদায়ের কঠোর পিতৃতন্ত্র তাদের পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেয়।