ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহানকে মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোসারাতের বড়বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২১) মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে আনভীরের বাবা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর মুনিয়ার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। ওই বাসায় তার যাতায়াতও ছিল। কিন্তু বিয়ে না করে সে উল্টো ‘হুমকি’ দিয়েছিল মুনিয়াকে। আসামিরা মুনিয়াকে ঢাকা ছাড়তে বলেছিল, নইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ২১ বছর বয়সী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে রাতেই ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’র অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত জাহান। মামলাটির তিনমাসের পুলিশি তদন্তের মধ্যে আনভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ বা আটক করা হয়নি একবারও। মামলার একমাত্র আসামি আনভীরের নাম বাদ দিয়ে গত ১৯ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে পুলিশের সেই প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা জানান মুনিয়ার বড়বোন নুসরাত জাহান। তিনি অন্যকোনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছিলেন। তবে তা খারিজ করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী গত ১৮ আগস্ট চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সায়েম সোবহান আনভীরকে কলেজছাত্রী মুনিয়ার ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’র অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।