সন্ধ্যায় ’বিবাদ’ সকালে উদ্ধার হল নারীর লাশ
সন্ধ্যায় স্বামীর সাথে বিবাদের পর সকালে নারীর লাশ উদ্ধার হলো গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়। রোববার (১১ এপ্রিল) ১৭ বছর বয়সী রুনা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার এলাকা থেকে পুলিশ ফাঁড়ি ।
জানা গেছে, পারিবারিক বিবাদ বলে দাবি করা হলেও বিয়ের পর থেকেই স্বামীর কাছে নির্যাতনের স্বীকার হতেন তিনি । প্রায়সময় স্বামী তাকে মারধর করত।
নিহত নারী রুনা আক্তার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের তিয়রপাড়া মহল্লার সোহাগের স্ত্রী।প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটি আদৌ আত্মহত্যা কিনা?
নিহতের স্বামীর পরিবারের দাবি,আটমাস আগে উপজেলার তিয়রপাড়া গ্রামের সুজাউদ্দীনের ছেলে ট্রাকচালক সোহাগ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফরিদপুরের গাফফার শেখের মেয়ে রুনার। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ চলছিল। শনিবার সন্ধ্যায় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রুনাকে মারধর করেন সোহাগ। পরে স্বামীর ওপর অভিমান করে রাতে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রুনা।
খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে নিহতের পরিবারের কারও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।