আড়াই বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানলেন ‘দেবী’ খ্যাত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানালেন ভক্ত ও বন্ধুদের। বিয়ে বিচ্ছেদকে স্বাভাবিক। এ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও চটুল সংবাদ না করতে অনুরোধ জানান এ অভিনেত্রী। স্ট্যাটাসের মন্তব্য ঘরে শবনম ফারিয়াকে অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানিয়েছেন অনেকে।
শবনম ফারিয়া বলেন, ‘শুধু মানুষ কী বলবে এটা ভেবে নিজের উপর অনেক টর্চার করেছি। এ সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট সময় নিয়েছি। বিয়েতে বিচ্ছেদ হয় বন্ধুত্বে ও ভালোবাসায় বিচ্ছেদ নেই। আমরা বন্ধু থাকব। ‘দয়া করে ‘মিডিয়ার বিয়ে টেকে না’ ধরনের কথা বলে আমাদের জন্যে আমাদের সহকর্মীদের ছোট করবেন না! আমরা সম্পূর্ণ ‘পারিবারিক কারণে’ ও পারিবারিকভাবে বিয়ে ইনস্টিটিউশন থেকে বের হয়ে এসেছি!’
এতে এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘এত সুন্দর করে বুঝিয়ে লিখেছেন। তারপরেও দেখবেন এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার সাংবাদিক ও ইউটিউবাররা এটাকে অন্যভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরবে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি নিজের প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদের খবর ভক্তদের সাথে শেয়ার করেছেন। এতে এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘এত সুন্দর করে বুঝিয়ে লিখেছেন। তারপরেও দেখবেন এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার সাংবাদিক ও ইউটিউবাররা এটাকে অন্যভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরবে।’
একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘অনেক অনেক ভালো থাকো ফারিয়া আপু। তুমি আমার দেখা চমৎকার একজন মানুষ । তোমার জন্য দোয়া সবসময়।’
ফারিয়ার ওই স্ট্যাটাসে শুভেচ্ছা জানিয়ে নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেন, ‘সুন্দর লিখেছ কন্যা শবনম ফারিয়া। যা হয় ভালোর জন্য হয়। ভালো থেক তোমরা, তুমি ভাল থেক।’
নিজের স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেন, মানুষের জীবন নদীর মতো। কখনও জোয়ার, কখনও ভাটা। কখনও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়, শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনেও এমনটা হয়! আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে; কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না!
“মানুষ কি বলবে” ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা!
আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, “আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!“ ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে! কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়!“মানুষ কি বলবে” ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা!
তিনি লিখেন,“জীবনটা অনেক ছোট, এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার”? এইটা ভেবে আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আমরা আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না! তাও বছর খানেক সময় নিয়েছি পরষ্পরকে বুঝতে! ফাইনালি “আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন” ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।
তিনি লিখেন, ‘বিবাহে বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু ভালবাসার বিচ্ছেদ নেই! বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ নেই! যতদিন বেঁচে আছি আমাদের ভালবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে! শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম! এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না!’
তিনি লিখেন, ‘অপুর জন্যে আমার অনেক অনেক দোয়া, ভালবাসা আর শুভ কামনা। আমরা যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম আমরা যেন সে সুখ খুঁজে পাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমাদের কখনও ভালবাসা কিংবা বিশ্বাসের অভাব ছিল না, হবেও না। ‘