বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের পর ভয় দেখায় কথাটি যেন কাউকে না বলে কিশোরী। তাহলে কিশোরীর আর মুখ দেখানোর উপায় থাকবে না। এমন সব সামাজিক লজ্জ্বার ভয়ে ধর্ষণের কথা গোপন করে কিশোরী স্কুল ছাত্রী। ধর্ষক বাইরের কেউ নয় নিজের আপন খালার স্বামী (খালু)। খালুর কথা রেখে কিশোরী মেয়েটি ভয়ে কাউকেই বলেনি। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এলে জানা গেল কিশোরী এখন দেড়মাসের অন্তসত্ত্বা। খালুর ধর্ষণের বিষয়টি আর চাপা থাকল না। কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হেফাজতে পাঠিয়েছে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম আব্দুল মতিন ভুঁইয়া (৫০)। আপন খালার স্বামীর হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার আউট বাড়িয়া গ্রামে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আব্দুল মতিন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কুষ্টিয়া (সেনবাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আউটবাড়িয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।
এর আগে সোমবার সকালে কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে গফরগাঁও থানায় আব্দুল মতিন ভুঁইয়াকে আসামি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত মতিন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গফরগাঁও পুলিশ জানায়, ধর্ষক আব্দুল মতিন ভুঁইয়া থাকতেন স্ত্রীর বাড়িতে। আত্মীয়তার সুবাদে স্ত্রীর বোনের শ্বশুরবাড়িতে (সারভাইভার কিশোরীর বাড়ি) যেতেন। গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ওই কিশোরীর বাড়িতে যান তিনি। ওইদিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করেন মতিন ভুঁইয়া। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হমকি দেন তিনি। কিশোরী মেয়েটিও ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
গত রোববার (৬ ডিসেম্বর) কিশোরী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে মেয়েটি এক মাস ১৮ দিনের অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। পরে বিষয়টি সারভাইভার কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে ।
সারভাইবার কিশোরীকে আগামী মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।