নড়াইলের স্ত্রী ঘাতক এনায়েত মোল্লার ফাঁসির রায়
বাবার জমি বেচে টাকা দিতে রাজি ছিল না স্ত্রী নারগিস। দুই বছর আগে ২০১৮ সালে স্ত্রীকে গলায় ফাঁসি দিয়ে শ্বাসরোধে খুন করেছিল ৪০ বছর বয়সী স্বামী এনায়েত মোল্লা। স্ত্রী ঘাতক এনায়েত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। সোমবার (১১ জানুয়ারি, ২০২১) নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতের দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ ও সাক্ষীদের জেরা বিবেচনা করে দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিউর রহমান এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন
ডেকে এনে ৩ বন্ধুসহ স্ত্রীকে ধর্ষণ করল স্বামী
মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত মো. এনায়েত মোল্লা লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের ইন্তাজ মোল্যার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মো. এনায়েত মোল্যা স্ত্রীর পিতার বাড়িতে থাকতে। নড়াইলের সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত জব্বার মোল্যার বাড়িটিই ছিল তার ঠিকানা। শ্বশুরবাড়িতে থেকে খেয়েও সন্তুষ্ট ছিল না এনায়েত। যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় নিজের স্ত্রী নারগিস বেগমকে নির্যাতন করত। গত ২১ নভেম্বর ২০১৮ রাতে স্ত্রীকে তার বাবার দেয়া জমি বিক্রি করতে বলে। স্ত্রী সেটি বিক্রি করে টাকা না দেওয়ায় শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর গভীর রাতে খুন করে গলায় শাড়ি পোঁচিয়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে আম গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
প্রতিবেশীরাই নিহত স্ত্রী নারগিসের পরিবারের কাছে খবর পাঠায়। নারগিসের ভাই মো. বাকু মোল্যা ও বোন মোসাম্মৎ পারভিন খাতুন সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। লাশ ময়নাতদন্তের পরেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রেজাউল করিম তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিউর রহমান দীর্ঘ শুনানি শেষে মো. এনায়েত মোল্লাকে স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।