মিথ্যা মামলায় এক নারীকে প্রভাব খাটিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে পুলিশি হয়রানির পর সংবাদমাধ্যমে ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে প্রচার করা হয়েছে কুৎসামূলক খবর। এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে সরকারি বিভিন্ন উচ্চমহলকেও। খোদ স্বামী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন তারই স্ত্রী সাধনা মহল। ভিকটিম সাধনা মহল দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক প্রয়াত সাংবাদিক মো. আসফ উদ দোলা রেজার মেয়ে।
সাধনা মহল বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধে প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তার সাজা হওয়ার অনিবার্য সম্ভাবনার কারণেই, তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ আমার কাছে ‘নিঃশর্ত বিচ্ছেদ’ নিতে আমাকে হেনস্তা করছেন। আমি জীবন ও নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় রয়েছি।’
নিজের পরিচয় তুলে ধরে সাধনা মহল বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২২ বছরের পেশাগত জীবনে একজন গবেষক, উন্নয়ন কর্মী এবং নাগরিক অধিকার কর্মী। ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কালচারাল এনথ্রপলজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার জন্য কাজ করি পরে আমেরিকার ফোরডহাম ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ে প্রফেশনাল ডিপ্লোমা করেছি। লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশে ফিরে আসি I বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থায় নারী উন্নয়ন, সুশাসন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নগর অবকাঠামো, নাগরিক অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কাজ করি। দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনে এখনো কাজ করছি।’
অবিশ্বাস্য সব হয়রানির বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী সাধনা মহল বলেন, ‘আমি ৫ জুন বিদেশ থেকে ফেরার পর ঘরে গিয়ে দেখি, প্রায় সমস্ত দামি জিনিস কাগজপত্র নিয়ে আমার স্বামী গোবিন্দ বর অন্য কোথাও চলে গেছে। এরপর এ বিষয়টি নিয়ে জিডি করতে গুলশান থানায় যাই। এরপর থেকে অন্তত পুলিশ অন্তত চারদিন বাসায় এসেছে এবং আমাকে বাসা থেকে চলে যেতে বলেছে। পুলিশ আমাকে জানায় বাসার ভাড়া চুক্তি যেহেতু গোবিন্দ বরের নামে, তাই আমি বাসায় থাকতে পারবো না। আমি তাদের বলি আমি এবং গোবিন্দ বর স্বামী স্ত্রী এবং এটা আমাদের বাসা। তবুও পুলিশ আমার বিরুদ্ধে গোবিন্দর কী অভিযোগ সেটা না জানিয়ে আমাকে বাসা থেকে চলে যেতে বলে।’
নিজের স্বামীর মদদে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী সাধনা মহল বলেন, ‘এরপর ২২শে জুলাই আমি গুলশান ২ রোটারি ক্লাবের মিটিংয়ে যাই। সেই মিটিংয়ে গোবিন্দ বর এসে হাজির হন, সেখানে তিনি আমার সাথে কথা বলার জন্য সেখানে থাকতে বলেন, মিটিংয়ে। কিন্তু উনি কোন কথা বলেননি শুধু মিথ্যা অভিযোগ করে গেছেন। মিটিং শেষে নিচে গিয়ে দেখি যে সেখানে একগাড়ি পুলিশ, মহিলা এবং পুরুষ পুলিশ, এবং পুলিশের গাড়ি। এবং আকস্মিকভাবে তারা আমাকে সেখানে গ্রেফতারের জন্য টানাহেঁচড়া শুরু করে। আমি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখতে চাই, দেখানো হয় নাই৷ গোবিন্দ বর নিজেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অর্থাৎ গোবিন্দই ফোন করে পুলিশকে ওখানে ডেকে নিয়ে আসছেন। এবং আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয় খোলা রাস্তার ওপরে। মহিলা পুলিশরা আমাকে শারীরিকভাবে টানাটানি শুরু করে৷ মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়, ব্যাগ নিয়ে নেয়। এবং জোর করে আমাকে পুলিশের গাড়িতে না তুলে গোবিন্দর যে প্রাইভেট জিপ ছিলো, সে প্রাইভেট জিপে পুলিশসহ সে গাড়িতে তোলা হয়। তুলে আমাকে গুলশান থানায় নিয়ে যায়। সাথে গোবিন্দও যায়, পুলিশের গাড়িতে করে। এবং মাঝরাত পর্যন্ত থানায় থেকে নিজে পুলিশকে অর্ডার করেছে আমার সাথে কী ব্যবহার করতে হবে।’
সাধনা মহল বলেন, ‘সেখানে প্রকাশ্যে সে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেছে। আমাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল চুরির মামলায়। থানাতে আমাকে বলা হয়েছে আমি রাষ্ট্রদ্রোহী আমি দেশের আইন মানি না৷ আমার ধারণা ছিল, আমি ধারণা করছিলাম, যে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আমাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম আমার স্বামী কেন সেটা করবে? তখন আমাকে বলা হলো যে চুরির মামলায় আমাকে ধরা হয়েছে। আমাকে কোন মামলার এজাহারের কপি পড়তে দেওয়া হয়নি। আমার ব্যাগ ফোন পুলিশ নিয়ে নিয়েছে এবং আমার কোন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। গোবিন্দর ইনস্ট্রাকশনে আমাকে গারদে রাখা হয়। সারারাত গারদে আমাকে এক গ্লাস পানি খেতে দেওয়া হয়নি এবং আমাকে ওয়াশরুমে যেতে দেওয়া হয়নি। যে ডিউটি অফিসার ছিল তাকে আমি বারবার অনুরোধ করেছি। আমার কণ্ঠস্বর তার কান পর্যন্ত গেছে ঠিকই উনি কোন স্টেপ নেন নাই। বলেছেন যেহেতু আপনি নারী আসামি এখানে কোন নারী পুলিশ নাই তাই আপনার কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। এক গ্লাস পানি আমাকে কেউ দিতে আসে নাই। কারণ ওই পানিটা নাকি নারী পুলিশকে দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু থানায় নারী পুলিশ আসলে ছিল। আমাকে ইচ্ছা করে এই অত্যাচারটা করা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘পরের দিন সকালে আটটার সময় আমাকে গারদ থেকে বের করে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পানি খেতে দেওয়া হয়নি কারণ আমার কাছে কোন টাকা ছিল না, পানিটা কিনে খেতে হবে সে কারণে। সকালে আমার পাশে থাকা গারদের সকল আসামিকে কোর্টে চালান করা হয় আমাকে করেনাই আমাকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত গারদে রাখা হয়েছে। দুইটার পরে আমাকে সিএমএম কোর্টে পাঠায়, কোর্টের এজলাসে যেতে দেয় নাই সিএমএম কোর্টের গারদে আমাকে রাখা হয় এবং আমার সঙ্গে কারো একটি কথা বলার বা যোগাযোগ করার কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি। অত্যন্ত অমানবিক ট্রমার মধ্যে আমি সারাটা সময় কাটিয়েছি।’
সাধনা মহল অভিযোগ করেন, ‘গোবিন্দ যতগুলো জিডি মামলা আমার বিরুদ্ধে করেছে গুলশান থানায়, সবগুলো কাগজপত্র আমার ঠিকানা ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। মিথ্যা ঠিকানা দেওয়ার কারণে কোন অভিযোগের কোন কাগজ আমার কাছে কখনো এসে পৌঁছায় নাই।’
দৈনিক কালবেলা নামের একটি দৈনিকসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কুৎসামূলক সংবাদ ও ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী এ নারী বলেন, ‘আমার নামে এই কুৎসা রটনামূলক সংবাদটি পাঁচটি মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাদের প্রিন্ট ভার্সন-অনলাইন ভার্সন-ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করে। পরবর্তীতে কালবেলার ওই একই নিউজের কন্টেন্ট আরো প্রায় ১০টি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ করে। কালবেলার খবরের সূত্র ধরে আরও মানবজমিনসহ আর দশটি পত্রিকায় আমার বিষয়ে কুৎসা ভাইরাল করা হয়। এর দায়দায়িত্ব কালবেলার নিউজ এডিটর সন্তোষ শর্মার।’
এদিকে কালবেলাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একজন নারীকে নিয়ে কুৎসা ও বিদ্বেষমূলক সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নারীবাদী অ্যাকটিভিস্টরা।
নারীবাদী অ্যাকটিভিস্ট শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, ‘একজন নারীকে কতোটা সিস্টেমেটিকভাবে হেনস্তা করা যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সাধনা মহল। যেখানে বাংলাদেশের আইনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে চুরির মামলা দেয়া যায় না, সেখানে সাধনার বিরুদ্ধে তাই দেওয়া হয়েছে। এমনকি যৌতুকের মামলাও দেওয়া হয়েছে। আর কালবেলা পত্রিকার উচিত ছিলো দুইপক্ষের কথা শুনে একটা নিরপেক্ষ রিপোর্ট বানানো। ক্ষমতাবানের হাতিয়ার হিসাবে কোন নারীর চরিত্রহনন করা মিডিয়ার ভূমিকা হতে পারে না।’
অ্যাকটিভিস্ট দিলশানা পারুল বলেন, ‘সাধনা মহলের চরিত্র হনন করে কালবেলা ইউটিউবে যে রিপোর্টটা করেছে সেইটার প্রধান উদ্যোক্তা পত্রিকাটির সম্পাদক সন্তোষ শর্মা। যিনি গোবিন্দ বরের কাছের বন্ধু। গোবিন্দ বর এই স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছে। প্রথম চার ঘণ্টায় দেখি ২২ হাজার ভিউ। তার মানে এই পোস্টটা পয়সা দিয়ে বুস্ট করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই যে নারীর চরিত্র বেচে মিডিয়াগুলোর ব্যবসা করার ধান্ধা, এইটা বন্ধ হওয়া অসম্ভব জরুরি। একটা মেয়ে বিপদে পড়লেই এই যে পত্রিকাগুলা উঠেপড়ে লাগে সেই মেয়ের কাপড় খুলে বাজারে তুলতে— এইটা আর কিছুতেই চলতে দেয়া যায় না। মেয়েদের চরিত্র বেচে এই যে মিডিয়ার ব্যবসা করার ধান্ধা, এইটা বন্ধ করতে হবে।’
দিলশানা পারুল বলেন, ‘যেটুকু বুঝতে পারছি এই গোবিন্দ বর অবশ্যই অসম্ভব ক্ষমতাবান লোক। নইলে এর মধ্যে ঢাকা টাইমস, মানব জমিন আর কালবেলারে দিয়ে রিপোর্ট করাই ফেলল। মাশআল্লাহ! কালবেলাকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই ভিডিও নামাতে হবে। এই দেশের মিডিয়া মেয়েদের বাঁচতে দেবে না আসলে। এই দেশে মেয়ে হয়ে জন্মানোর চেয়ে বড় পাপ আর নাই।’
চুরির মামলায় গ্রেফতার করানো ও স্ত্রীর খারাপ চরিত্র বিষয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ প্রসংগে জানতে চেয়ে এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বক্তব্য ইমেইলে পাঠাবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থেকে ইমেইলে তিনি কিছু হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক আলাপের স্ক্রিনশট ও তাদের স্বামী স্ত্রীর যৌথ একাউন্টে ১৫ লাখ টাকার জমা করার ব্যাংক দলিল ও টাইপ করা কিছু কথোপকথন পাঠান।
পরে তিনি নিজেই ফোন করলে আমরা জানাই, তার ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিবদমান বিচারাধীন বিষয়টি আমাদের প্রশ্ন নয়, ভিকটিম নারীর বরাতে তার কাছে আমাদের প্রশ্ন ছিল— তিনি নিজেরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে চুরির মামলা করে তাকে পুলিশি হয়রানি করতে তার পদের কারণে পাওয়া ক্ষমতা ও যোগাযোগকে ব্যবহার করে স্ত্রীকে হেনস্তা করছেন কী না, ও পরিকল্পিতভাবে কালবেলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক ও চরিত্রহানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন কী না? আমাদের এ প্রশ্ন দুটির উত্তরে তিনি বলেছেন, খবরের দায় তার নয় সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের অন্যদিকে পুলিশি হয়রানির দায়ও তার নয় সেটা থানার। তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলোর সাথে নাকী তার কোন যোগাযোগই হয়নি তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা সংক্রান্ত কাগজগুলোই দিয়েছেন। তার কথায়— ‘সেটা আপনি পত্রিকাকেই প্রশ্ন করুন’।
সংবাদমাধ্যমে এমন বিদ্বেষপূর্ণ খবর প্রচারের প্রশ্নে একপর্যায়ে অনেকটা স্বীকার করেই তিনি বলেন, ‘এসব তিনি (সাধনা মহল) প্রথমে শুরু করেছেন।’
তিনবার ফোনে যোগোযোগের পরও তিনি আমাদের কাছে তার লিখিত বক্তব্য পাঠানোর সময় চাইলে আমরা তার বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করি। তিনি আজ ২৯ সেপ্টেম্বর ইমেইলে তার লিখিত বক্তব্য পাঠান আমরা সেটি অবিকল তুলে ধরছি।
Replies to Questions from womenvoicebd/ উইম্যানভয়েসবিডি
29 September 2023
১.আপনি কী প্রথম স্ত্রীর সাথে লিগ্যালি সেপারেটেড অথবা আদালতের মাধ্যমে আপনাদের বিচ্ছেদ হয়েছিলো?
বিষয়টি আদালতের বিবেচনাধীন (subjudice) হাওয়ায় মন্তব্য করছিনা।
আমি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করি এবং সাধনা মহল কে ১৮৭২ সালের Special Marriage Act অনুযায়ী বিয়ে করি।
২. যদি হয়ে থাকে বিচ্ছেদের লিগ্যাল ডকুমেন্টস আপনার কাছে আছে?
বিষয়টি আদালতের বিবেচনাধীন (subjudice)।
৩. যদি না হয়ে থাকেন তাহলে কী ভিকটিমের অভিযোগ অনুসারে আপনি প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন?
কোন কিছু গোপন করার প্রশ্ন-ই ওঠেনা। সাধনা মহল সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তার নিজের নিয়োজিত আইনজীবির মাধ্যমে আমাকে বিয়ে করেন, যা তিনি আমাকে পাঠানো তার লিগ্যাল নোটিসে নিজেই বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন (সংযুক্তি-১-সাধনা মহলের লিগ্যাল নোটিস, তারিখ- ২১/০৫/২০২৩)।
৪. প্রথম স্ত্রীর সাথে আপনার কী কোন মামলা বিদ্যমান রয়েছে?
হ্যাঁ। তিনি খোরপোষ এবং ২য় বিয়ে চ্যালেঞ্জ করে ২টি মামলা করেছেন।
৫. আপনার অভিযোগ তথ্যের ভিত্তিতে কালবেলায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে ‘সাধনা মহল টাকার লোভে বিয়ে করেন’- সে অভিযোগে যে প্রশ্ন সামনে আসে তা হল ১. আপনি সাধনা মহলকে কত টাকা দিয়েছেন? বিয়ের সময়ে উনি কী দামী গহনা অলংকার নিয়েছিলেন? অথবা উনি কী আপনার কাছ থেকে গাড়ি, ফ্ল্যাট এরকম কোন উপহার নিয়েছেন? আপনি কী খুব ধনাঢ্য কেউ?
কালবেলা একটি স্বাধীন, সম্মানিত ও বহুল প্রচারিত গনমাধ্যম। তাদের প্রকাশিত খবরের বিষয়ে তারা জবাব দিতে পারবেন।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে সাধনা মহল টাকার জন্য ডিভোর্সের হুমকি দিয়ে ও বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে টাকা দিতে হবে এমন চাপ প্রয়োগ করে একটি যৌথ ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা রাখতে বাধ্য করে। এছাড়াও আমার কাছ থেকে সে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এবং নগদে আরো ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। বিয়ে উপলক্ষে আমি সাধনা মহল কে আট ভরি স্বর্নের কানের দুল, চেইন, নাকফুল ও চুড়ি উপহার দিয়েছি।
৬. কালবেলায় প্রকাশিত খবরে আপনাকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। সেটা কী আপনি তাদের অনুরোধ করেছিলেন? না সংবাদমাধ্যমটি নিজে নিজে স্বতপ্রণোদিত হয়ে আপনার নাম গোপন রেখেছে?
কালবেলা থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি সাবজুডিস বা আদালতের বিচারাধীন হওয়ায় তাদেরকে আমি আমার আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করতে বলি। আমার আইনজীবির দেয়া তথ্য-প্রমান এবং নিজেদের স্বাধীন তদন্তের ভিত্তিতে তারা তাদের প্রতিবেদন করেছেন।
৭. আপনি এডিবির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ভিকটিমের অভিযোগ আপনি নিজের পদের কারণে পাওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় প্রভাব খাটিয়ে আপনার দ্বিতীয় স্ত্রীকে হয়রানি করছেন। এটি কী সত্য?
আলোচ্য বিষয়টি আমার একান্ত ব্যক্তিগত। এই বিষয়ে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রতিবেদনের দায়মুক্তি: দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে নারীর বিষয়ে চরিত্রহানিমূলক খবর প্রকাশিত হলে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। সেখান থেকেই বিষয়টি আমাদের গোচরীভূত হয়। সংবাদে প্রকাশিত কোন বক্তব্য আমাদের নিজেদের নয়। বক্তব্যগুলো ভিকটিম নারীর অভিযোগ ও অভিযুক্তের। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াগুলোকেও আমরা তুলে ধরেছি।