জাপান থেকে বাংলাদেশে আসা দুই শিশু নাকানো জেসমিন মালিকা (১১) ও নাকানো লায়লা লিনা (৯) আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের মা জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানোর সঙ্গে থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দিয়ে শুনানি ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন।এই সময়ের মধ্যে শিশু দুটির বাবা ইমরান শরীফ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এক আদেশে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এই দুই শিশু তাদের মায়ের কাছে থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তার আগে গত ২১ নভেম্বর এই দুই শিশু তাদের বাবার কাছে থাকবে বলে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বিয়ে করে জাপানে স্বামী প্রকৌশলী ইমরানকে নিয়ে থাকা চিকিৎসক নাকানো এরিকো দাম্পত্য কলহের জেরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী।
তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলে বিচারক। কিন্তু সমঝোতা না হওয়ায় কয়েক দফা শুনানির পর হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, ঢাকায় নিয়ে আসা দুই মেয়ে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছেই থাকবে। তবে মা সন্তানদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।
গত ২১ নভেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চের দেওয়া সে রায়ে বলা হয়, যেহেতু মা জাপানি নাগরিক এবং সেখানে বসবাস ও চাকরি করেন, সে কারণে তিনি তার সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশে এসে সন্তানদের সঙ্গে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ দিন একান্তে সময় কাটাতে পারবেন।
হাই কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদলতে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো।